ভাষা ও সংস্কৃতি:
মূলত : হরিরামপুর উপজেলাটি মানিকগঞ্জ জেলার অর্ন্তগত হলেও এ জনপদটি ফরিদপুর জেলার নিকটবর্তী। তাই, এ জনপদের অধিবাসীদের কথ্য ভাষা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ফরিদপুর জেলার ভাষভাষিদের সংমিশ্রনে প্রতিষ্ঠিত। যেমন- এ এলাকার অধিবাসীরা এখন-কে বলে এনহে, রান্নাকে বলে নান্দা, কোথায়-কে বলে কোদারে ইত্যাদি।
সংস্কৃতি : শ্রুতি আছে যে, রাজা হরিবর্মনের নাম অনুসারে এ জনপদের নামকরণ হয় হরিরামপুর। প্রাচীন আমল হতেই এটি ছিল হিন্দু অধিষ্যিত জন বসতি। স্বভাবত: হিন্দু শাস্ত্রের বিভিন্ন সঙ্গীত ছিল এখানকার সঙ্গীতের মূল সুর। কখিত আছে পৌষ সংক্রান্তিতে যে ঔন্নী গানের আয়োজন হতো সেখানে রাধা-কৃষের পৌরণিক গাথার আলোকে গান প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জারী, সারি, ভাটিয়ালী, দুয়া গানের প্রচলন বেড়ে উঠে। প্রখ্যাত জারী গানের বয়াতি বদু গয়ান গেন্দু বয়াতি, মনরুদ্দিন বয়াতী, প্রখ্যাত গীতিকার ওসমান খানের বসতবাড়ি এ উপজেলায়। ওসমান খানের রচনায় “ আমার সোনার ময়না পাখী “ গানটি প্রখ্যাত পল্লীগীতি শিল্পী নিনা হামিদের কণ্ঠে প্রস্ফুটিত হয়েছিল যা আজও গ্রাম বাংলায় সমাদৃত। গেন্দু বয়াতির সারিন্দার সুর আজও সগজ সরল মানুষকে অশ্রু ভারাকান্ত করে তোলে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী জনাব কিরণ চন্দ্র রায়ের বাড়ি হরিরামপুর উপজেলার ভাটি বয়ড়া গ্রামে যে গ্রামটি এখন সর্বনাশা পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস